রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা , আতঙ্ক বাড়ছে

27th July 2021 5:16 pm বাঁকুড়া
রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকা , আতঙ্ক বাড়ছে


তৌসিফ আহমেদ ( ইন্দাস ) :  রাতভর বৃষ্টির কবলে পড়ে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা রীতিমতো জলমগ্ন হয়ে পড়ে । রাস্তার ওপর এক হাঁটু জল জমে যায় পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকতে থাকে জল রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার সাধারন মানুষরা । ইতিমধ্যেই বহু মাটির বাড়িতে ফাটল ধরেছে যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বাড়িগুলি । স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের নিকটবর্তী স্কুলে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ও খাওয়া-দাওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে । এছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামে ঘুরে তাদেরকে শুকনো খাবার প্রদান করা হয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টির জল ঘরে ঢুকছে ফলে সাপ ও পোকামাকড়ের আতঙ্ক রয়েছে তাদের । পাশাপাশি ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে জল যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচলতি সাধারণ মানুষদের । অন্যদিকে গ্রামের বেশ কয়েকটি স্কুল জলমগ্ন হয়ে রয়েছে সব মিলিয়ে রীতিমতো বৃষ্টির জেরে এলাকার বন্যার চেহারা নিয়েছে । 

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন , প্রতিবছরই বর্ষাকাল এলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও জল নিকাশের স্থায়ী সমাধান করা হয়নি যার কারণেই তাদের এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।

 জয়েন বিডিও ইন্দাস অনির্বাণ সাহা জানান , যারা জলমগ্ন রয়েছেন তাদেরকে নিকটবর্তী স্কুলে আনার কাজ চলছে এবং যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে সরকারিভাবে তারা সমস্ত ধরনের ক্ষতিপূরণ পাবেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।